শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০১৬

নিকষিত হেম

১. সত্তর দশকের শেষের কথা। চিপাচস করার কারণে সাপ্তাহিক চিত্রালীর সাথে আমি সম্পর্কিত ছিলাম। ওখানে পাঠকের পাতায় লিখতামও। তাসলিমা নাসরিন,নামে ময়মনসিংহের একটি মেয়ের লেখাা মাঝে মাঝে চোখে পড়তো।। ছোটো ছোটো দুঃখ বেদনা অনুভুতির কথা মেয়েটা সুন্দর করে লিখতো। একবার সাপ্তাহিক সন্ধানীতে "নিকষিত হেম" নামে ওর  একটা ছোটো লেখা  ছাপা হয়েছিলো । প্রেম সম্পর্কিত লেখাটি ভীষন ভালো লেগেছিলো । সেই থেকেই তাসলিমা নাসরিনকে আমার জানা । তারপর ওর অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা গল্প আমি পড়েছি। এই প্রেমময়ী মিষ্টি স্নিগ্ধ মেয়েটার পরবর্তীতে যে কি হলো, কে যে ওর মাথা বিগরে দিলো, আমার কাছে অবাকই মনে হয়।কারন,এখনকার লেখার সাথে তখনকার সেই লেখার  কোনো মিলই নেই।
২. পদাবলীতেই আছে, 'কানুর প্রেম নিকষিত হেম কামগন্ধ নাহি তাহে।' তবু প্রেম যে কামকে একেবারে বাদ দিয়ে তা তো নয়। রাধার অন্তর্যাতনা ও উপলব্ধি লক্ষ করলে তাতে স্পষ্টতই সাধারণ নারীর পরিচয়ই ফুটে উঠবে। যেমন, এই পদটি- সই, কে বলে পিরীতি ভালো / হাসিতে হাসিতে পিরীতি করিয়া কান্দিতে জনম গেল।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন