রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৬

মা'র হাতের ঝাল পিঠা

শীত আসলেই মা'র কথা বেশী করে মনে পড়ে। ছোটবেলার গ্রামের পিঠা খাওয়ার কথা বড়ো বেশী মনে পড়ে। বিশেষ করে মা'র হাতের ঝাল পোড়া পিঠা,দইলা পিঠা,ঝাল চেতো পিঠা'র কথা।এগুলো সব গ্রামের পিঠা। শহরে আমার স্ত্রী এগুলো করতে পারেনা। মা মরে যাবার পর এইসব পিঠাগুলো আর খাওয়া হয়না।

'কালের কপোলতলে'র অশ্রুজল

মা মারা গিয়েছেন তাও তিন বছর হয়ে গেছে। মা কিংবা প্রিয়জন যেই মারা যাক না কেন,মানুষ আস্তে আস্তে তাদেরকে ভুলে যায়। কিন্তু আমার বেলায় হয়েছে উল্টো। দিন যতো যাচছে মা'র কথা যেন আরো বেশী মনে পড়ছে। প্রায়শঃ মা'র কথা মনে পড়ে চোখের জলে ভরে যায়। কি যে আর্তি,কি যে বুকে ব্যাথা,তা বোঝাতে পারি না কাওকেই । মন চায় যদি আর একটিবার মা আমাদের মাঝে ফিরে আসতো !
মা এমনই 'কালের কপোলতলে'র অশ্রুজল হয়ে হারিয়ে গেছে যে, সেখান থেকে আর কখনোই ফিরে আসবে না।

বেঁচে থাকতে চাই

আমি সিগারেট খেতাম খুব সৌখিনভাবে । সারাদিনে ৫/৬ টা স্টীক। হা্র্ট এ্যাটাকের পর থেকে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। আামার অনেক দিনের এক পুরানো বন্ধু ,যার সাথে দীর্ঘ ৩৩ বছর সিগারেট খেয়েছি, সে আমাকে একদিন সিগারেট অফার করলো, আমি তাকে না বললাম।।কারন এই অসম্ভব সুন্দর পৃথিবীতে আমি বেঁচে থাকতে চাই।বন্ধুটি বললো,তুমি কি আর কোনদিনই সিগারেট খাবেনা? আমি বললাম, খাবো কোনো একদিন থেকে। যদি কখনো আমার আগে আমার স্ত্রী মারা যায় সেইদিন থেকে। কারন, আমাকে যে বেঁচে থাকতে হবে।

আমি তার হাত ধরেছিলাম

আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে আমি তার হাত ধরেছিলাম। এমনি কোন এক মায়াবি ক্ষনে।বাহিরে ছিলো আজকের মতো এমনি শীতের রোদ্দুর। সেই থেকে দুজন অবিরাম পথ চলেছি। যেন " ,,পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি, আমরা দুজন চলতি হাওয়ার পন্থী।..." 
মনটা কেমন যেন ব্যকুল হয়, কেমন যেন ভয় হয, ঈশ্বর যে কোন একজনের হাত ছেড়ে নিয়ে যাবে নাতো ? অসীম শূণ্যতা আর প্রতিদিন ঘরহীন ঘরের একাকিত্ত আমরা কেউই চাইনা।