শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০১৬

শিলিগুড়ির ডুয়ার্স।

শিলিগুড়ির ডুয়ার্স। সমরেশ মজুমদারের কালবেলা বা সাতকাহনের ডুয়ার্স। গরুমারা, চাপরামারি, জলদাপাড়া, গজলডোবা, ঝালংয়ের মতো সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে সেখানে । পাহাড়ের ধাপে-ধাপে উঠে যাওয়া ফার-পাইনের চোখ জুড়োনো সবুজ আর পাহাড়ের মাথায় মেঘ-রোদ্দুরে লুকোচুরি। 
২০০৯ সালে আমি এবং হ্যাপি  শিলিগুড়ি যাই।উদ্দেশ্য ডুয়ার্স ভ্রমন। তিন দিন ছিলাম ।ওখানে আমাদের এক বন্ধু ছিলো, নাম শিশির রায়। শিশিরই গাইড করেছে আমাদের।সমরেশ মজুমদারের কালবেলার জায়গাগুলোতে ঘুরেছি।জয়গা্ঁও,আলীপুর দুয়ার,ময়নাগুড়ি,ফুয়েন্টসোলিং গিয়েছি।জলপাইগুরির চা বাগানের ভিতর দিয়ে আমাদেেের ট্যাক্সি ছুটে চলেছে।ডুয়ার্সের বন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে পথ।গভীর বন পেড়িয়ে আমরা গিয়েছি সেভক পাহাড়ে।সেভক ব্রিজের উপর দাড়িয়ে দূরের পাহাড় দেখেছি। আর পাহাড়ের উপর কালী মন্দির দেখাটাও মিস  করিনি। পুরো ডুয়ার্স যেনো এক অপরূপ রূপের নিসর্গের লীলাভূমি। 
আমি যা দেখেছি তা আমার দু'চোখই কেবল বলতে পারে। 
শক্তি চট্টোপাধ্যায় বলেছিলো--
“জংগলে চাঁদের সংগে হেঁটে গেছো কখনো জ্যোস্নায়?
পাতার করাতে চাঁদ ছিন্নভিন্ন হতে দেখেছো কি?
ফুটবলের মতো চাঁদ পড়ে আছে টিলার উপরে-
কখন,গভীর রাতে খেলা হবে,জয়োল্লাস হবে-
এসব মুহুর্তে তুমি জংগলের মধ্যে যেতে পারো|”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন