বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১৬

দিয়া বাড়ী

মন খারাপ থাকলে কিংবা মন ভালো থাকলে দুটো কারনেই মাঝে মাঝে আমরা দুজন দিয়া বাড়ী বেড়াতে যাই। বাসা থেকে দিয়া বাড়ী দেড় কিলোমিটার দূরে। এক বিকালে রিক্সায় চড়ে প্রসস্ত রাস্তা দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে  দিয়া বাড়ী যাই। কাশবনের পাশ দিয়ে রিক্সা চলতে থাকে। রিক্সায় চলতে চলতে চলে যাই লেকের পাড়ে ব্রিজের উপরে। দশ টাকা দিয়ে বাদাম কিনি। বাদাম খেয়ে খোসাগুলো ফেলে দেই লেকের পানিতে।দূরে বেরী বা্ঁধের উপর দিয়ে চলে যায় মিরপুরের সব বাস।বা্ঁধের ওপারে ধূধূ বিল।ছোনের ছাউনির নীচে খোলা চা'র দোকানের মাচায় বসে গরম চা'র কাপে দেই চুমু-ক। হাাপি পছন্দ করে আবার ফুসকা আর বেল পুরী। আস্তে আস্তে সূর্য ডুবে যায়। তখন  দিয়া বাড়ী হয়ে ওঠে অপূর্ব এক আলো ছায়ার বাড়ী। বক আর শালিকেরা  উড়ে চলে যায়। ছোটো ছোটো মুনিয়া পাখীদের কিচির মিচির বাড়তে থাকে। হ্যাপির মাথার কালো চুলের মতো সন্ধ্যা নেমে আসে। কোথাও নিয়ন বাতি জ্বলে ওঠেনা। অদ্ভূত মায়াময় আধারে ঢেকে যায় সমগ্র দিয়া বাড়ী। ঘরে ফিরে আসতে মন চায়না তখন। আমাদের মন দুলেে ওঠে। মায়াবী পর্দা উন্মোচিত হতে চায়।মনে হয় অনন্ত আাকাশের নীচেই থেকে যাই। মনে হয় কাশবনের পাশে শুয়ে থাকি দুর্বা ঘাসের উপর অন্ন্ত রাত। সারারাত জোনাকিরা আলো ঝরাতে থাকুক !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন