শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৬

অবন্তী প্রেম চায়


অবন্তী দাঁড়িয়ে আছে,স্বপ্ননীলের অপেক্ষায়। অবন্তী আজ স্বপ্ননীলের সঙ্গে যাবে লোকাল ট্রেনে কোথাও। অবন্তীর সাধারণ চোখে স্বপ্ননীলের সাধারণত্ব বেঁধে ফেলেছে। অবন্তী প্রেম চায়। আগের মতো, যেমন চাইতো। সেই ফুচকার স্বাদের মতো। স্বপ্ননীলের ভয় করে, কিন্তু নেশা ধরে গেছে।পর্দা ঢাকা কেবিন বা শেষসন্ধ্যায় ঘনিষ্ঠতা শিরায় শিরায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পেছনের চুল থেকে এক ফোঁটা স্বেদবিন্দু গড়িয়ে আসে । অবন্তী দেখে, স্বপ্ননীলের সস্তার টিশার্ট আর সস্তার জিনসের ভেতরে সেই স্বেদবিন্দুটা। অবন্তী প্রেম চায়। স্টেশনের বাইরে মাঝবয়সী পান খাওয়া রিক্সাওয়ালা জিজ্ঞাসা করে,, কোথায় যাবেন ? রিক্সায় ওরা বসে আঁট হয়ে। স্বপ্ননীল হাওয়ায় ওড়ে।অবন্তী প্রেম চায়। রিক্সাওয়ালা বলেছিলো বিকালে আসব নাকি ? স্টেশনে ফিরবেন তো?'। মহুয়া হোটেলের খাতায় নামধাম লেখে অবন্তী। সব কাল্পনিক। হোটেলের বয় ঘরে জল দিয়ে যায় । আর ভাতমাছ দুই প্লেট।।  অবন্তী দরজা বন্ধ করে। স্বপ্ননীল ভয়ে কাঁপে, অবন্তী হাসে, বিকেলের আলোয় জোৎস্না ঝরে, নাকিি শভ্র তুষারপাত! অবন্তী প্রেম চায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন