১৯৯৫ সালের কথা।'মুক্তির গান` ছবির প্রদর্শনী চলছিলো তখন শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে।দর্শনীর বিনিময়ে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম, সম্ভবত সেদিন ছিল ছবিটির সপ্তম প্রদর্শনী। হল ভর্তি দর্শকরা রুদ্ধশ্বাসে দেখছিলেন মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত এক ছবি! ছবিতেে দেখা যায় অপারেশনে যাবার আগে মক্তিযোদ্ধারা ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে রওয়ানা হচ্ছেন। অপারেশন শেষ করে ক্যাম্পে ফিরে আবার বজ্রকন্ঠে বলছেন `জয়বাংলা`। শাহীন সামাদ সহ মুক্তিযোদ্ধা শিল্পীদের একটি দল নৌকায় করে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ঘুরে ঘুরে গাইতেন উদ্বুদ্ধ করার সব গান। ছবির শেষ দৃশ্যে বিজয় উল্লাসে আকাশের দিকে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে একদল মুক্তিযোদ্ধা বিজয়ের সেই শ্লোগান,দেয় জ-য়-বাং-লা ! সেই থেকে তারেক মাসুদকে আমি চিনি। মূলত`মুক্তির গান’ই তাকে চিনিয়েছে আমাকে! এরপর আরও অনেক স্মরণীয় ছবি। তারপর তিনি নিজেই একদিন এক বিয়োগান্তক ছবির শেষ দৃশ্যে অবতীর্ন হন।২০১১ সালের ১৩ আগস্ট কাগজের ফুল-ছবির শুটিং স্পট নির্বাচন করে ফেরার পথে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াজুড়িতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন