সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৬

কাওসার খান

কাওসার খান আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহপাঠি ছিলো।ঢাকার গোড়ান এরিয়া থেকে আসতো। হ্যাংলা পাতলা গড়ন, কপাল ছিলো একটু বড়ো ধরনের, মাথায় চুল ছিলো কম। সবার সাথেই সে মিশতো না। মেয়েদের সাথে তো আরো নয়।লাজুক স্বভাবের এই ছেলে বাবলু বাসার সম্পাদিত 'অস্বীকার' পত্রিকায় 'ইন্টারকোর্স ক্ষুধা' নামে একটি কবিতা লিখে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে কাওসার খান পাক্ষিক 'আনন্দ বিচিত্রা'য় সহকারী সম্পাদক হিসাবে যোগ দেয়।ওখানে চলচ্চিত্রের উপর সুন্দর সুন্দর অনুসন্ধানীমূলক ফিচার লিখতো। সেই সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা 'রোজিনার স্বামী বৃত্তান্ত' এর উপর একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট লিখার কারণে এফডিসি-তে রোজিনার সাঙ্গপাঙ্গদের হাতে সে লাঞ্চিতও হয়েছিলো।
কি কারনে কাওসার খান আনন্দ বিচিত্রা ছেড়ে দেয়, তা আমার জানা নেই। তারপর নব্বই দশক থেকে ওকে তেমন্ আর কোথাও দেখা যায়নি। শুনেছি সে নাকি এখন আমেরিকায় থাকে।অসম্ভব মেধার অধিকারী আমাদের এই বন্ধুুটি এখন কেমন আছে, কিছু জানিনা।আর কেউ জানলে কমেন্টসে লিখে জানালে খুশী হবো।


প্রসঙ্গ: অস্বীকার পত্রিকা:  ১৯৭৬-৮১ সময়কালে বাংলা বিভাগের কয়েকজন স্বাপ্নিক তরুণ এই পত্রিকাটির সাথে জড়িত ছিলেন।তাদের অদম্য মেধা আর পরিশ্রমেই 'অস্বীকার' হয়ে উঠেছিলো সেই সময়ের একটি সাহসী কনঠস্বর। এইসব তরুণদের মধ্যে জনাব বাবলু বাসার ছিলেন অন্যতম।তিনিই 'অস্বীকার'-এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন। সহকারী হিসাবে ছিলো- নওশেরুল ইসলাম,আহমেদ মুসা,কাওসার খান,এমদাদ আলী আকনদ ও এনামুল হক।আমার যতোটুকু মনে পড়ে এটি ছিলো বাংলাদেশের প্রথম অধিকাঠামোমুলক পত্রিকা।কেন যে স্বপ্ন দেখানো এই তরুণগুলো পত্রিকাটির প্রকাশনা চালিয়ে নিতে পারেনি তা আমার কাছে রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। ( পত্রিকাটির কোনো সংখ্যা কারো কাছে যদি থাকে জানালে কৃতা্র্থ হবো )।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন