শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

লোফার এরিয়া

লেকের পাড়ে হাটতে গেলে সাধারণতঃ ৩ নং সেক্টরের পূর্ব পাড় ধরে আমি হাটি না।দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওদিকে তো যাওয়াই যায় না।অল্প বয়সী সব চিকনা চিকনা ছেরীরা অল্প বয়সী কতকগুইলা ছেরারে নিয়া জড়াজরি করিয়া বসিয়া থাকে।এদের দেখে বোঝা যায় এরা স্কুল/কলেজ ক্লাস ফা্ঁকিবাজ ছাত্র ছাত্রী।অনেকের পরনে ইউনিফরম।এই ছেরা ছেরীরা লেকের পাড়ে বসিয়া ষে সব লীলাখেলা করে তাহা দেখিয়া আক্কেল আর পেটের ভিতর থাকেনা। একদুল্লা একদুল্লা ছেরীগুলার যাগোরে নাটরের কা্ঁচাগোল্লার মতো বুকটাও ঠিকমতো ওঠে নাই,তাগোর সেলফী তোলা আর খিলখিলাইয়া নিটকানী দেখিয়া মাথা টাসকি খাইয়া যায়।মোবইলে ভিডিও দেখিয়া হাসিতে হাসিতে পাশে বসা রোমিও ছেরার উপর ঢলিয়াা পড়ে। মনে মনে কই,বেশী নিটকাইস না। তুই যা করোস হেগুলাও তর রোমিও ডিভাইস চালাইয়া ভিডিও করিয়া রাখে। ওইগুনা যহন তর রোমিও ইন্টারনেটে ছাড়িয়া দিবো।তখন বুঝবি,তর নিটকানি কই যায়।

আরো অনেক সিন সিনারী আছে,লিখলাম না ওসব। ঘরে আমার পরিবার (বউ) আছে, সে যদি জানে যে আমি ঐ লোফার এরিয়ার দিকে গেছি,তাহলে আমার টেংরী দুইটা ভাঙ্গিয়াই ফেলিবে।

(*** 'নিটকান' অর্থ হাসি, 'একদুল্লা' অর্থ ছোট। টেংরী অর্থ পা। এগুলো সিরাজগঞ্জের আঞ্চলিক শব্দ।)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন