রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

শূণ্য নদী তীরে

নব্বই দশকের কথা।বাড়ী থেকে হঠাৎ খবর পেলাম মা অূসুস্থ।অফিস থেকে তৎক্ষণাৎ ছুটি নিয়ে সোজা মহাখালী বাস স্ট্যান্ডে চলে যাই।তখন টাংগাইলের ভূ্ঁয়াপুর পর্যন্ত বাসে যেয়ে লঞ্চে সিরাজগঞ্জ যেতে হতো।,মহাখালী বাস স্ট্যান্ডে চলে আসি। মহাখালী থেকে বাস ছাড়ে দুপুর একটায়।ভূ্ঁঁয়াপুরের চর গাবসারা পৌ্ঁছতে পা্ঁচটা বেজে যায়।চর গাবসারা থেকে আরো দেড় মাইল বালুচর পায়ে হেটে লঞ্চ ঘাটে পৌ্ঁছি। ঘাটে পৌ্ঁছে দেখি লঞ্চ ছেড়ে মাঝ দরিয়া পর্যন্ত চলে গেছে।ঐটি ঐদিনের শেষ লঞ্চ ছিলো। ভট ভট শব্দ করে লঞ্চটি ছুটে চলেছে।আমি সারেংকে ইশারা করে ডাকলাম,কিন্তু কে শুনে কার কথা।কে জানবে আমার মা যে গুরুতর অসুস্থ।আমাকে যে যমুনা পাড়ি দিতে হবে। সেদিনের আর কোনো লঞ্চ নাই, কোনো নৌকাও রাত করে যেতে রাজি হলো না । কি করবো। তখন সন্ধ্যা ঘনে এসেছে।শূণ্য নদীর তীরে নির্জন বালুচরে একাকী পড়ে রইলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন