শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৬

মহামায়া


'মহামায়া কুলীনের ঘরের কুমারী। বয়স চব্বিশ বৎসর। যেমন পরিপূর্ণ বয়স, তেমনি পরিপূর্ণ সৌন্দর্য। যেন শরৎকালের রৌদ্রের মতো কাঁচাসোনার প্রতিমা-- সেই রৌদ্রের মতোই দীপ্ত এবং নীরব, এবং তাহার দৃষ্টি দিবালোকের ন্যায় উন্মুক্ত এবং নির্ভীক।' রবি ঠাকুর মহামায়াকে এমনি করেই বর্ণনা করেছিলেন তা্ঁর ছোট গল্পে। এই সুন্দর দীপ্ত মহামায়ার মুখ সহমরণের চিতায় পুড়ে কুৎসিৎ হয়ে যায়।তার এই কুৎসিৎ মুখ  তাকে আ্ঁচল দিয়ে ঢেকে রাখতে হতো।একদিন পূর্নিমা রাতে তার স্বামী তার এই কুৎসিৎ মুখ দেখে ফেলে। কথা ছিলো তার  স্বামী  কোনোদিন তার মুখ দেখবে না। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। বেদনায় ক্ষোভে স্বামী সংসার পরিত্যাগ করে মহামায়া চিরতরে ঘর হতে বের হয়ে চলে যায়

আমরা আশা করছি,খাদিজা একদিন বে্ঁচে উঠবে। আমি এই মেয়েটাকে কখনো দেখিনি।হয়তো মহামায়ার মতোই তার পরিপূর্ন সৌন্দর্য ছিলো, শরৎকালের রৌদ্রের মতো কাঁচাসোনার প্রতিমা ছিলো। দীপ্ত বিনম্র খাদিজা যখন বে্ঁচে থাকবে তখন তার শরীরের কদর্য দাগগুলো কি দিয়ে ঢেকে রাখবে ? তাকেও তো হীনমন্যতার কষ্টে পুড়তে হবে।অসীম বেদনা নিয়ে কোনো এক ভরা পূর্ণিমা রাতে এমনি করেই মহামায়ার মতো খাদিজাও  কি অভিমানী হবে ?  ঘর সংসার ছেড়ে চলে যেতে হবে নিরুদ্দেশে কোনো নিরালায় ? 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন