বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬

শালবনে একদিন

তখন সবে মাত্র নতুন বিয়ে করেছি।বউকে নিয়ে শালবন দেখার খুব সাধ হলো। একদিন ছুটির দিনে লোকাল ট্রেনে টংগী স্টেশন থেকে শ্রীপুর চলে যাই। ওখানে স্টেশনে নেমে একটি চা'র দোকানে বসে দু'জন চা খাই,সাথে দু'টো করে ডালপুরিও খেয়ে নেই। স্টেশনটা আস্তে আস্তে এক সময় ফা্ঁকা হয়ে যায়। আমরা বসেই আছি। দেখি একটা লোক একটা বানর নিয়ে এগিয়ে আসছে। সে বানরের নাচ দেখায়। লোকটাকে দশ টাকা দিয়ে বানরের নাচ দেখি । তারপর হাটতে হাটতে আমরা শালবনের দিকে চলে যাই। ওর পড়নে ছিলো হলুদ জর্জেট শাড়ী,পায়ে ছিলো লাল রঙ্গের বাটার জুতা আর চুল ছিলো সবুজ ভেলভেটের ফিতা দিয়ে খোপা বা্ঁধা , দেখতে একদম রূপবানের মতো রূপবতী লাগছিলো। আমরা  শালবনের অনেক ভিতরে চলে যাই। কা্ঁচা রাস্তা দিয়ে হাটছি, ভাবলাম, ওর একটা হাত ধরি, কিন্তু লজ্জা লাগলো, কেউ যদি দেখে ফেলে। আরো কিছু দূর যাওয়ার পর দেখি,একটি জলার মতো পুকুর।পুকুরের চারপাশটাও শালবনে ঘেরা।পাড়ে দূর্বা ঘাসের উপর দু'জন বসে পড়ি। বক,ডা্হুক,হা্ঁস,পানকৌড়িরা তখন কিচিরমিচির করছিলো।চারিদিকে তাকিযে দেখলাম জনমানব শূণ্য। আমি ওর মুখের দিকে একবার তাকাই, দেখি নির্জন দুপুরের রোদ্দুর ওর মুখে এসে পড়েছে।খুব মোহনীয় লাগছিলো। ভাবলাম- একটু কাছে টানি, আদর দেই ঐ মুখে। ওর মুখের দিকে ঝুকতেই কোত্থেকে একটি তীর এসে ওর শরীরে বি্দ্ধ হয়।রক্তাক্ত হয় ওর শরীর, রক্তে ভিজে যায় ওর শাড়ি।  দু্টো পানকৌড়ি তখন আহত রক্তাক্ত হয়ে  উড়ে চলে গেলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন