ইতিহাস তার গৌরব-গর্ব ও কলঙ্ক দায়কে একসূত্রে গেঁথে রাখে। এই গেঁথে রাখা পথ বেয়েই মানুষের প্রবাহমান জীবনস্রোত বয়ে চলে কাল থেকে কালান্তরে। ইতিহাসের এমনি এক ধূসর পথে সীমান্ত-শহর মেহেরপুরের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে আমঝুপি। এই পথে একদিন মোঘল-সেনাপতি মানসিংহের বিজয়-রথ ছুটেছে, এই পথে ভাস্কর পণ্ডিতের বর্গীদল ধূলি উড়িয়ে গেছে লুণ্ঠনের কালো হাত বাড়িয়ে, বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার অধিপতি নবাব আলীবর্দ্দী খাঁ-র মৃগয়ায় স্মৃতিও রয়েছে এইখানে। পলাশীর পরাজয়ের নীল-নকশাও রচিত হয়েছিল এইখানে-এই আমঝুপিতে।
অনেকদিন আগে কোনো এক হেমন্তের সকালে কাজলা নদীর তীরে আমঝুপিতে নীলকুঠি দেখতে গিয়েছিলাম।আমার সাথে ছিলো জেসমিন নামে একটি মেয়ে। মেহেরপুর থেকে আধাপাকা পথে রিকসায় যাচ্ছিলাম আমরা। পথে যেতে যেতে রাস্তার দু'পাশে দেখেছিলাম নীল অপরাজীতার ঝা্ঁড়। একটি কাকতালীয় ঘটনা সেদিন ঘটিছিলো- জেসমিনের পরনে ছিলো নীল রংএর সালোয়ার কামিজ,আমার পড়নে ছিলো নীল টি-সার্ট, রাস্তার দু/পাশে নীল অপরাজীতা - দেখতে যাচ্ছি আমজুপির নীলকুঠি। কি মুগ্ধ চোখে দেখেছিলাম সেদিনের সেই অপরাজিতা,যার রং ছড়িয়ে গিয়েছিলো জেসমিনের চোখে মুখে। তারপর কাজলা নদীর তীরে ইতিহাসের ধূলি পথে আমরা হেটেছি। তারপর চলে গেছে তিরিশ বছর, জেসমিন নামের সেই মেয়েটির আর দেখা পাইনি।
অনেকদিন আগে কোনো এক হেমন্তের সকালে কাজলা নদীর তীরে আমঝুপিতে নীলকুঠি দেখতে গিয়েছিলাম।আমার সাথে ছিলো জেসমিন নামে একটি মেয়ে। মেহেরপুর থেকে আধাপাকা পথে রিকসায় যাচ্ছিলাম আমরা। পথে যেতে যেতে রাস্তার দু'পাশে দেখেছিলাম নীল অপরাজীতার ঝা্ঁড়। একটি কাকতালীয় ঘটনা সেদিন ঘটিছিলো- জেসমিনের পরনে ছিলো নীল রংএর সালোয়ার কামিজ,আমার পড়নে ছিলো নীল টি-সার্ট, রাস্তার দু/পাশে নীল অপরাজীতা - দেখতে যাচ্ছি আমজুপির নীলকুঠি। কি মুগ্ধ চোখে দেখেছিলাম সেদিনের সেই অপরাজিতা,যার রং ছড়িয়ে গিয়েছিলো জেসমিনের চোখে মুখে। তারপর কাজলা নদীর তীরে ইতিহাসের ধূলি পথে আমরা হেটেছি। তারপর চলে গেছে তিরিশ বছর, জেসমিন নামের সেই মেয়েটির আর দেখা পাইনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন