রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৬

বংশী নদীর পাড়ে

তখন একে অপরের প্রতি মায়া জন্মাবার কাল। মাঝে মাঝে কঠিন শব্দে কথা বলতে ভালো লাগতো। একদিন ছুটির দিনে তাকে গানের ভাষায় বলি- চলো না ঘুরে আসি দূর কোনো অজানা থেকে।কপালকুন্ডলার মতো মৃদুস্বরে বললো- কোথায় থেকে ? বললাম- বংশী নদীর পাড়ে।এবার বনলতা সেনের কনঠে বললো- কিসে যাইবে ? আমি বললাম- গরুর গাড়ীতে।সে পড়লো কমলা রঙ্গের শাড়ি,আমি পড়লাম সবুজ পান্জাবী।বিকেলের আগেই পাবলিক বাসে আমরা সাভার পৌছে যাই।সেখান থেকে রিক্সায় বংশী নদীর পাড়ে।দু'ঘন্টার জন্য একটি ছোটো ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া করি। আমরা ঘুরছি,নৌকা মাঝ দরিয়ায় চলে যায়। সন্ধ্যা নামছে, আকাশের লাল আভা বংশীর জল সোনাবরণ করে তুলেছে।বক,ডাহুক,শংখচিল ডানা ঝাপটে উড়ে যাচছে।মাঝিকে বললাম- গান গাও।সে গান গাইলো না।ছলাৎ ছলাৎ শব্দে বৈঠা বাইছে। তাকে বললাম- তুমি গান গাও। তার মুখেও গান নেই।কথা বলছে হাসিতে। দূর থেকে একটি পানসি নৌকা আসছে,কাছে আসলে দেখতে পাই,এটী একটি গ্রামের বিয়ের নৌকা,ভিতরে রূপবানের মতো বউ বসে আছে। কলের গানে বাজছিলো তখন- 'ও কী ও বন্ধু কাজল ভ্রমরারে কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে।। যদি বন্ধু যাবার চাও ঘাড়ের গামছা থুইয়া যাও রে বন্ধু কাজল ভ্রমরারে কোন দিন আসিবেন বন্ধু কয়া যাও কয়া যাও রে..'

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন