রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৬

আমি তো তোমারে চাহিনি

সিডি রাখার রেকর্টিতে ধুলো জমে গেছে।আগের মতো আর সিডিতে গান শোনা হয়না।আজ রেকটির ধূলো পরিস্কার করতে যেয়ে রজনীকান্তের লেখা এবং হেমন্তের গাওয়া একটি পুরানো সিডি পেয়ে যাই।এই সিডিটি আমার স্তীকে দিয়েছিলো আমাদের কোলকাতার বন্ধু হিমাদ্রি চক্রবর্তী ২০০৮ সালে।হিমাদ্রির পূর্বপুরুষেরা ঢাকার সাভারের ছিলো।ওর স্ত্রীর নাম পৃথা চক্রবর্তী।শান্তি নিকেতনের মেয়ে।ওদের আতিথীয়তায় সেবার সেখানে তিনদিন ছিলাম।শান্তি নিকেতনের আমতলায় সবুজ ঘাসে বসে হিমাদ্রি খালি কণ্ঠে গেয়ে শোনায়েছিলো রজনীকান্তের লেখা এই গানটি।হিমাদ্রি আর নেই।পৃথা গত বছর আমাদের দু'জনকে উদ্দেশ্য করে একটা মেইল পঠিয়েছিলো, সেই মেইলের কিছু অংশ এই রকম ছিলো- 'কর্কটের কাছে হিমাদ্রির দেহ হার মেনেছে কিন্তু ওর চিত্ত পরাভূত হয়নাই।বেলেভিউর কেবিনের অ্ন্তিম শয্যায় শুয়ে শুয়ে হিমাদ্রি তোমাদের কথা অনেক বলেছে।তোমরাতো ভুলেই গেছো । সেই যে চলে গেলে আর এলে না।হিমাদ্রির ছাই ভস্ম রেখে দিয়েছি।যদি আসো আর একবার তাহলে তোমাদেরকে দিয়ে দিব এই ছাই ভস্ম।এগুলো ফেলে দিবে হিমাদ্রির পূর্বপুরুষদের বংশী নদীর জলে।' এবার শুনি রজনীকান্তের সেই গানটা-
আমি তো তোমারে চাহিনি জীবনে তুমি অভাগারে চেয়েছ;
আমি না ডাকিতে, হৃদয় মাঝারে নিজে এসে দেখা দিয়েছ।।
চির-আদরের বিনিময়ে সখা! চির অবহেলা পেয়েছ......."

পৃথা,কে বলে হিমাদ্রি আর নেই। আমরা  আবার আসবো শান্তি নিকেতনে,বসবো আমতলার সবুজ ঘাসে।সেদিনও  হিমাদ্রি গেয়ে শোনাবে এই গান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন