বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

শিপ্রা নদীর পারে

তারণ্যের সময়ে একবার শিপ্রা নদীর পাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। পাশেই ছিলো ঘন বন জঙ্গল,একটু ভিতরেই ছিলো একটি কাঠের দোতালা বাড়ী। নির্জন নিরিবিলি, চারদিক। বাড়ীটি থেকে সতেরো আঠারো বছরের একটি মেয়ে বের হয়ে আসে। অপরূপ সুন্দরী,পড়নে তার ঘাঘড়া, মুখে তার লোধ্ররেনু,,কপালে চন্দনের টিপ, নিম্ন নাভি,যেনো প্রথম যুবতী বিশ্বস্রষ্টার । আমি বিস্ময়ে তার দিকে তাকাতেই সে এসে আমার একটি হাত ধরে বলে- আমি শকুন্তলা।আমাকে নিয়ে যায় শিপ্রা নদীর পারে।একটি স্বর্ন অশোথের তলায় যেয়ে দু'জন বসি। সামনে স্রোতহীন স্বচছ জলের শিপ্রা নদী।আমি দূর্বাঘাসের উপর শুয়ে আছি। শকুন্তলা শিপ্রা নদীর জলে যেয়ে নামে ।আমাকে বলে যায়, আমি নগ্ন হয়ে স্নান করবো, তুমি চোখ বন্ধ করে থাকবে।আমি চোখ বন্ধ করে আছি, দক্ষিনের ঝরো বাতাসে অশোথের গাছ থেকে শতো শতো ঝরা পাতা আমার মুখের উপরে ঝরে পড়তে থাকে। যখন চোখ খুলি- দেখি শকু্ন্তলা নেই। কালিদাসের শকুন্তলা বইটি আমার বুকের উপর পরে আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন