সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সুইসাইডাল গেম : ব্লু হোয়েল

ইন্টারনেটে কিছু দিন ধরে দেখছি ব্লু হোয়েলের খবর। ব্লু হোয়েল সেই ভয়ঙ্কর অ্যাপ তথা গেম  যা একেক পর এক মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে আত্মহননের দিকে। কী করে কোনও সুস্থ, বুদ্ধিমান ছেলে বা মেয়ে এধরণের ফাঁদে পা দেয়!

ব্লু হোয়েল কিভাবে ছড়াচ্ছে? পড়ছিলাম -- এর স্রষ্টা এক রাশিয়ান যুবক। যার স্কুল-কলেজে বন্ধু ছিলোনা। বাড়িতে মায়ের কাছ থেকে কোনও অন্তরঙ্গ স্নেহ আদর জোটেনি। কিভাবে সে টেনে আনতো আত্মহননের পথে, অন্যদের?  ব্লু হোয়েল কিন্তু আর পাঁচটা গেমের মত অটোমেটেড নয়। এখানে প্রতি পদেই অ্যাডমিনিস্টেটররা কথা বলেন পার্টিসিপেন্টদের সঙ্গে, অ্যাসাইন করে দেন পরবর্তী টাস্ক। যার মধ্যে পড়ে নিজেকে আঘাত করা, দুর্ঘটনায় নিষ্ঠুর মৃত্যু ইত্যাদির ভিডিও দেখা, আরও অনেক কিছু। শেষ টাস্ক, নিজেকে খতম করে দেওয়া। অন্তিম আত্মহত্যাটির মুখ থেকে ফিরে এসেছে এমন এক টিনেজার মেয়ে পুলিশকে জানিয়েছিল, তাকে ওই রাশিয়ান যুবক চ্যাটে বোঝাতো-- " তোমার কোনও বন্ধু নেই, কেউ তোমায় ভালোবাসে না, তোমার মা বাবা তোমায় পছন্দ করেন না। এই অবস্থায় জীবনটা নিয়ে একটাই সুন্দর কাজ তুমি করতে পারো, ওটাকে শেষ করে ফেলা।"  মেয়েটিও আস্তে আস্তে পা বাড়াচ্ছিল সেদিকে...।

তাহলে কি একটা কমন প্যাটার্ণ রয়েছে এই সব মগজ-ধোলাই পদ্ধতির? মানুষের একাকীত্বকেই টার্গেট করছে এরা? চারপাশ থেকে ঘিরে রাখা ভালোবাসার সুরক্ষাবলয় নেই যাদের, তারাই শিকার হচ্ছে, তারাই পা বাড়াচ্ছে এই মরণখেলায়?

'পৃথিবী হয়তো বেঁচে আছে
পৃথিবী হয়তো গেছে মরে
আমাদের কথা কে-বা জানে
আমরা ফিরেছি দোরে দোরে ।
কিছুই কোথাও যদি নেই
তবু তো কজন আছি বাকি
আয় আরো হাতে হাত রেখে
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি।'

------------------------------------------------------------------
তথ্য সূত্র :  ইন্টারনেট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন