সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

শেষ প্রহরের কাব্য

স্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়। রাত তখন দুইটা দশ। চোখ বন্ধ করে আবার ঘুমোতে চেষ্টা করি। ঘুম আর আসছিলো না। ফেসবুক খুলে দেখি, পরিচিত কয়েকজনের আইডি তে সবুজ বাতি জ্বলছে। তারা এই অসময়ে কি করছে? এতো মায়াজাল এখানে!

পার্শ্ববর্তিনী ঘুমাচ্ছে। চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি, ঘুমের চোখও তার মায়াবী। পাষাণ হতে ইচ্ছা হলো। এতো কাছে এতো পাশে শুয়ে আছে আদর জড়ায়ে, তারপরেও এই রাতে তাকেই যে ডাকতে ইচ্ছা করছে। ডাকলামও। ঘুম চোখে শুনছিলো আমারই কথা।

বললাম, চলো বারান্দায় যেয়ে বসে থাকি। ভালো লাগছেনা। মানুষের শরীরের রক্ত কনিকায় হঠাৎ কখনো জমাট বদ্ধ হয়ে যায় রক্ত, তখন নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় । জীবন চলছেনা যেনো আর কেমন থেমে যায়। এক জীবনেই মানু্ষের এতো গ্লানি। আশা মিটিতে না মিটিতে জীবন ফুড়ায়ে যায়।

উত্তরার আঠারো নং রোড এক নিঝুম আঁধারে ঢেকে আছে। কোনো কথাই বলা হলোনা ঠিক মতো। একজন মানুষকে শুধুই ঘুমহীন করে রাখলাম। তাকে বললাম, যাও ঘুমিয়ে পড়ো। রাতের শেষ প্রহরে আমি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে নেই। তার কিছু পরে ফজরের আযান হলো। ভোর হলো। সূর্যও উঠেছে। ভালোই লাগছে এখন। সবাইকে সুপ্রভাত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন