মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৭

হাম তুম এক কামরা মে

অনেক বছর আগের কথা।তখন আমি পরিকল্পনা কমিশনের একজন তরুণ কর্মকর্ত।আমরা কয়েকজন সহকর্মী একটি সরকারী প্রকল্পের মূল্যায়নের কাজে গিয়েছিলাম চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে।আমাদের Respondent ছিলো সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং দৈব চয়নের ভিত্তিতে কিছু জনসাধারণ। Random sampling এ একজোড়া couple পেয়ে যাই, নাম মোহনবা্ঁশি মালাকার আর ওর বউ দিপালী মালাকার।ওদের Interview এর জন্য আমি এবং নাজনীন নামে একজন তরুণী কর্মকর্তা চলে যাই মোহনবা্ঁশি'র বাড়ীতে।ওরা ছিলো নিম্নবিত্তের মানুষ।একটিমাত্র ঘর।কিন্তু ওরা এতোই সরল আর আন্তরিক ছিলো যে,আমাদের ওদের থাকার ঘরটিতেই বসতে দেয়।আমি আর নাজনীন সবে বিশ্ববিদ্যালয় হতে বের হওয়া উচ্ছল ছলছল তরুণ তরুণী।আমাদের স্বাভাবিক কথাবার্তাও প্রেমের কথার মতো মনে হয়।মোহনবা্ঁশি আর দিপালী ধরেই নিয়েছিলো আমি আর নাজনীন স্বামী স্ত্রী অথবা প্রেমিক প্রেমিকা।তখন বেলা গড়িয়ে দুপুর সময়।বাইরে ঝাঁঝা্ঁ রোদ্দুর।পিছনে বা্ঁশ ঝা্ঁরে ঘুঘু ডাকছে।কেমন উদাস এক হাওয়া বইছে বাইরে।ঝরে পড়ছে ঝরা পাতা টিনের চালে।নাজনীনের চোখে চঞ্চলতার দোল।দেখলাম- মোহনবা্ঁশি আর দিপালী আমাদের দু'জনকে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে চলে গেল।বন্ধ ঘরে তখন আমি আর নাজনীন,যেনো সেই ুহিন্দী সিনেমার গানের মতো রোমান্টিক সময় পার করছি-' হাম তুম এক কামরা মে বন্দি হো, আউর চাবি খো যায়....।'

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন