শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭

মুন্নী বাঈ : বাঈজী থেকে বেগম

ইতিহাসের এক ধূলি সময়ের কথা।মুন্নী বাঈ ছিলো নবাব আলীবর্দী খাঁ'র জলসা ঘরের এক বাঈজী। অসম্ভব সুন্দর দেহবল্লরীর অধিকারিণী ছিলেন তিনি।তার রূপ মাধুরী আর নাচের নুপুরের নিক্কণে নবাব অন্দর মহলের অনেক যুবা পুরুষেরই অন্তরে কাঁপন ধরতো।মীর জাফরেরও অন্তর কাঁপিয়ছিলো এই নর্তকী।আলীবর্দী খাঁ'র প্রধান সেনাপতি থাকা অবস্থায় মীর জাফর প্রায়ই জলসা ঘরে যেয়ে মুন্নী বাঈয়ের সাথে স্ফূর্তি করতো।তখন থেকেই তার খায়েস ছিলো মুন্নী বাঈকে বিয়ে করার।কিন্তু রাজকীয় প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী জলসাঘরের কোনো নর্তকী অভিজাত মুসলমানের পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব ছিলোনা।মীর জাফর তার লালিত খায়েস পূরণ করেন পলাশী যুদ্ধের পর পুতুল নবাব হয়ে। তার প্রথম স্ত্রী শাহ বেগমের আকস্মিক মৃত্যু হলে তার খায়েস পূরণের সুযোগ এসে যায়।সকল লোক লজ্জার মাথা খেয়ে এই নর্তকী মুন্নী বাঈকে বিয়ে করে বেগমের মর্যাদা দেন।এই ভাবেই শুরু হয়েছিলো মুর্শিদাবাদে জেনানা মহলে বাঈজী থেকে বেগম হওয়ার অধঃপতিত কাহিনী।

কথিত আছে.দুশ্চরিত্রা এই মুন্নী বাঈকে মীর জাফর আরেক বদমাশ লর্ড ক্লাইভের কাছে মনোরঞ্জনের জন্য পাঠাতেন।মুন্নী বাঈ তার রূপ মাধুরীতে বিমুগ্ধ করতো ক্লাইভকে এবং তাদের নাবালক পুত্র নাজিমের জন্য বাংলার পরবর্তী নবাবের পদটি নিশ্চিত করিয়ে নিয়েছিলেন এই ভাবেই।প্রায় সময়েই মীর জাফর অন্যান্য রমণী ও নর্তকীদের সাথে সুরাপানে মত্ত থাকতো আর এইসব রমণীদের মিশবার সুযোগ করে দিতো স্বয়ং মুন্নী বাঈ। এই সুযোগে মুন্নী বাঈও রাজমহলের সকল গুুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেন।বাংলার নবাবীও চালাতো ইংরেজ লর্ডদের সাথে যোগসাজস ও মনোরঞ্জন করে এই নাচনেওয়ালী।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন