সোমবার, ২৯ মে, ২০১৭

রাজবাড়ী

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার আমার একজন বন্ধু ছিলো। আমরা তখন কবি জসিমউদ্দীন হলে একসাথেই থাকতাম।বর্ষার ছুটিতে ওর সাথে একবার  মুক্তাগাছায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিলো রাজবাড়ী দেখার। সেদিন সকাল থেকেই কেমন যেনো ঝরোঝরো বৃষ্টি হচ্ছিলো। একটি রিক্সা নিয়ে আমি আর বন্ধু ইকবাল রাজবাড়ি দেখতে যাই।রাজবাড়ীর মূল ফটক বা সিংহ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে  রাজপ্রাসাদের আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ফটকের দুই করিডরের পাশে তিনটি করে মোট ছয়টি সিংহমূর্তি । সিংহ দরজা পেরিয়ে একটু এগোলেই খানিকটা খোলা জায়গা । আরেকটু এগোলেই চোখে পড়ে একটি মন্দির। মন্দির থেকে হাতের ডান পাশেই ফাঁসির ঘর। এখানে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো অপরাধী এবং অবাধ্য প্রজাদের। এই ঘরের সামনে ছিল একটি বড় গর্ত, যা এখন ভরাট অবস্থায় আছে। এই গর্তেই ফেলে দেওয়া হতো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া লাশদের। গর্তের সঙ্গে ছিল ব্রহ্মপুত্র নদের যোগসূত্র। জোয়ারের পানিতে ভেসে যেত ওই সব মানুষের লাশ। 
                                                                                                                                           

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন