শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

ভৈরবী

এই গ্রাম, মাটি, জল, রূপকথা— সবই গান। সবুজ শস্যের উপর যে বাতাস সুসংবাদ বয়ে আনে তাও তো গান। ওই যে দুটি শালিক ঠোঁটে ঠোঁট, গান ভ’রে দিচ্ছে হৃদয়ে, তাদের একটি কোমল ধৈবত আর একটি নিখাদ। টিউশানি পড়ে ফেরার পথে সরু অন্ধকার গলিতে যে প্রেম মুখ লুকায় তা মন্দ্র সপ্তকে বাঁধা। বাড়ি ফিরে রাতে ভূগোল বইয়ের ফাঁকে লুকিয়ে পড়া চিঠি তবে কৌশিকধ্বনি।
যে ছেলেটি, চিনতে পারছে সুরের চলন। সুর তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, ছেলেটি পিছুটানহীন চলে যাচ্ছে তার পিছু পিছু। কোথায়, কতদুরে, কোন দিগন্তের কোনও পথভোলা কিশোরীর কাছে আলোকনির্মিত গানের স্কুলে সে শিখতে যাচ্ছে কীভাবে সুর হাসায়, কাঁদায়, ক্ষমা করে, ভালবাসে। আজ, ছেলেটির এই অনায়াসে চলে যাওয়ার নাম হোক ভৈরবী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন