বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সানফ্লাওয়ার

সে ছিলো মধ্যবয়সী এক রমণী।শরীরের বাঁকে বাঁকে জমে গেছে রেখা।মেকআপের নীচে দেখি পরিচিত তিল।সিঁড়ি দিয়ে উঠে যাই দোতালায়।সুপারহিট ম্যাটেনী শো।সোফিয়া লরেনের সানফ্লাওয়ার।অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহ।সুনসান নিরবতা।ভয়ে ত্রস্ত হলাম,সোফিয়ার চুুলের কাঁটা গিলে ফেললো মার্শেলো।
ঝুঁকে পড়ে রমণী।আমার হাত থেকে ক্লাশ পালানো বই খাতা নীচে পড়ে যায়।কলমটাও হারিয়ে ফেলি অন্ধকারে।কাটতে থাকে রোমাঞ্চ সময়।ম্যাটেনী শো শেষ হয়।সিঁড়ি ভেঙ্গে নীচে নেমে আসি।রাস্তায় ব্যস্ত গাড়ীর হর্ণ।বসন্তের ধূলো উড়ছে।বিকালের রোদটাও ঝাঁঝাঁঁ করছে।বিদগ্ধ মাঝ বয়সী রমণী রিক্সার হূট তুলে রামকৃষ্ণ মিশনের দিকে চলে যায়।
ইউনিভার্সিটির হলে শুয়ে আছি। মাথা ঝিম ঝিম করছে।সন্ধ্যাকে মনে করছি মধ্যরাত।ঘুমের ঘোর নাকি,স্বপ্নে আছি ! কে যেনো বলছে- থেমে যাও তরুণ ! নিঃসঙ্গ নারী নাভীতলে মগ্ন হয়োনা।নিঝুম পুষ্প বৃষ্টিতে ভিজিও না।এ সব মায়ার সময় এখন তোমার নয়-
আমি তো দু'হাতে ধরেছি অরণ্য,
বুকের তলায় বেঁধেছি অনেক স্বপ্ন-
বাড়ীতে যাইনা- ছোট বোন অভিমানে তাই বেনী গাঁথেনা
মা পথের দিকে তাকিয়ে থাকে বিমর্ষ চোখে-
নস্ট ঠোঁটের গন্ধ নিতে চাইনা
আলোগুলো মিলাতে চাইনা,কোনো ভ্রষ্ট রক্তের বিন্দুতে।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন