সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

'র' রহস্য

আমার ছোটো মেয়েকে গতকাল বাংলা পড়াচ্ছিলাম।সে আগাগোড়া বাংলাতে কাঁচা।সিক্স ক্লাশে পড়ে,কিনতু এখনো তাকে মাঝে মাঝে বর্ণমালা স্মরণ করিয়ে দিতে হয়।গতকাল পড়াতে যেয়ে 'আষাঢ়' শব্দটি এসে যায়।আমাকে সে পরপর দুইটি প্রশ্ন করে: বাবা, এতোগুলো 'র' কেনো? 'র' 'ড়' 'ঢ়' ।
দ্বিতীয় প্রশ্ন: 'আষাঢ়' লিখতে 'র' না হয়ে 'ঢ়' হলো কেনো ?
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলাম।ডঃ রফিকুল ইসলাম স্যার ও ডঃ মনসুর মুসা স্যার আমাদের ভাষা তত্ত্ব ও ধ্বনি তত্ত্ব পড়িয়েছেন।আমি মেয়েকে অনেক পান্ডিত্য আর তাত্ত্বিকভাবে ওর প্রশ্নের উত্তরগুলো দিতে পারতাম।কিন্তু আমি সেদিকে গেলাম না।ওসব বুঝবেও না সে।আমি শুধু বললাম- মামনি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্ল্যাহ নামে অনেক বড়ো বড়ো পণ্ডিতেরা এগুলো অনুমোদন করে গেছেন। তোমাকে এইভাবেই এসব পড়তে ও লিখতে হবে। তুমি বড়ো হও- তখন বুঝতে পারবে, 'র' এর রহস্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন