বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭

এই গান এই সুর

দুইজনেরই মন আকুল হয়েছিল, তাই চলে গিয়েছিলাম দিয়াবাড়িতে। খালপাড় পার হতেই রিক্সা চলতে থাকে কাশবনের দিকে। পাশে বসে ছিলো সারা জীবনের সেই সাথী একজন। কানের কাছে ফোন ডিভাইসটি নিয়ে আনমনে শুনছিলাম দরবারি কানাড়া রাগ। কতো শতো বছর আগে মিঁয়া তানসেন সম্রাট আকবরের জলসায় আবেশ ছড়িয়েছিলো এই সঙ্গীত । তারপর এই রাগের পথ ধরে গেয়েছে আরো কতোজন।
রাতভর ঝরেছিলো শ্রাবনের বৃষ্টি। কাশবনের পাতায় পাতায় জমে আছে সেই জল। এই মায়াবী বিকেলে উড়ছে তার এলোমেলো মাথার চুল। চারটে শালিক আনন্দ করছে লেকের পাড়ে দূর্বা ঘাসের উপর। পাশের সঙ্গিনীর মুখের উপর তাকিয়ে দেখলাম সেই চিরকালীন হাসিটি, লাল আভার রোদ্র পড়ে তাতে স্নিগ্ধ রূপ নিয়েছে।
এই সন্ধ্যায় এখানে আমরা কোনো দুঃখ নিতে আসিনি। এসেছি নির্মল আনন্দ মুঠো মুঠো উজার করে নিতে। পেয়েও গেলাম হঠাৎ কিছু নস্টালজিক গানের সুর। এক বহিমিয়ান তরুণ গীটার বাজিয়ে গেয়ে যাচ্ছে গান। 'ঝনক ঝনক তোরি বাজে পায়েলিয়া ', অতি অবশ্যই বৈজু বাওরার 'ও দুনিয়া কে রখওয়ালে ' । আর যেটি মন কেড়ে নিলো ' আজি নিঝুম রাত কে। '
সব আশা ভরে দিয়ে নেমে আসতে থাকে আঁধার। এই পৃথিবী এমনিতেই অনেক সুন্দর, তারপরও যদি এমন ক্ষণে পাশাপাশি থাকি দুইজন। আমরা চেয়েছি দু'হাত ধরে পথ চলতে। আজ এই মায়াময় সন্ধ্যা রাতের এই গান আর এই সুর আমার ফেসবুকের ওয়ালে লিখে রেখে গেলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন