বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭

ফুলমতি

মেয়েটির নাম ফুলমতি,বয়স দশ বছর হবে। কিশোরগঞ্জের হাওড় পাড়ে ওর বাড়ী। ওখানেই সে বড়ো হয়েছে। ওখানেই সে ধুলো বালিতে খেলতো আর ঘুরে বেড়াতো। এক হেমন্তের সকালবেলায় ফুলমতি বাবার সাথে নৌকায় করে ভৈরব চলে আসে। ভৈরব রেল জংশনে ঢাকাগামী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করে বাবা ও মেয়ে। দুপুর গড়িয়ে যায়। অনেকটা সময় ধরে অভুক্তই থাকে ফুলমতি। বাবা একটি পাউরুটী আর দু'টো কলা কিনে খেতে দেয় । ফুলমতি সেখান থেকে অর্ধেক দেয় বাবাকে। এর মধ্যে চট্রগ্রাম থেকে এক্সপ্রেস ট্রেন প্লাটফরমে এসে থামে। বাবা আর মেয়ে উঠে পড়ে সেই ট্রেনে। ট্রেন যখন কমলাপুর এসে পৌঁছে তখন সন্ধ্যা হয়ে যায়। ওরা যাবে মগবাজার তাদেরই গাঁয়ের এক পরিচিতের বাসায়। বাবা ফুলমতিকে বাইরে অপেক্ষায় রেখে বাথরুমে যায়। বাথরুম থেকে ফিরে এসে দেখে ফুলমতি সেখানে নেই। অচেনা ঢাকা শহরে বাবা ফুলমতিকে অনেক খুঁজেছে কিন্ত পায়নি।

এই শহরের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ফুলমতির কান্নার ধ্বনি শোনা যায়। কালো হাতের থাবার নীচ থেকে সে ডাকে- 'বাবা তুমি কোথায় ? আমাকে নিয়ে যাও।'

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন