সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭

দেবী

দেবী নামটির প্রতি আমার এক ধরণের দূর্বলতা আছে। সে যে দেবীই হোক। ভারতীয় পুরাণের দেবী, গ্রীক মিথের দেবী অথবা মনুষ্য দেবী। 'দেবী' মানেই মনে হয় সে সুন্দর, সে সুন্দরী, কিংবা সে হুর বা পরী। মনে হয় সে একজন প্রেমিকা রূপ।

একটা নিষ্প্রাণ পাথরের রূপ,থেমিস তার নাম। এতো আন্দোলন, এতো টানাটানি তাকে নিয়ে ? সে শাড়ি পড়ে দাড়িয়ে আছে পাল্লা হাতে। আরেক হাতে তরবারি। অনেকেই  তাকে বলে গ্রীসের দেবী। আমি বলি - সে বাংলার,সে বাঙ্গালী। সে যেই হোক, তাকে ওখান থেকে সরাবেন কেন ?

নামাজ পড়তে দেখা যায় ? ঠিক আছে বছরের ঐ দুই দিন না হয় কাপড়ের পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখেন। আমরা আমাদের বাসা বাড়ীতে নামাজ বা মিলাদের সময় ওয়ালে টানানো ছবি থাকলে তা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখি। বছরে ঐ দুই দিন ভাস্কর্যটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে অসুবিধা কি ?

আর যদি সরানোর ইচ্ছাই থাকে, আমি বলবো-সরাবেন না। তার বদলে ভাস্কর্যটির চারপাশে কালো পাথর দিয়ে দেয়াল তুলে ঢেকে দিন। যেদিন এ দেশের সব মানুষ বুঝতে পারবে- মূর্তি পূজা করা আর ভাস্কর্যের শৈল্পিক সৌন্দর্য এক জিনিস নয়, সেদিন ভেঙ্গে ফেলা হবে এই ভাস্কর্যের চারপাশের পাথরের কালো দেয়াল। আর না বুঝতে পারলে ঐ কালো দেয়ালেই 'মূর্তি' টি ঢেকে থাকবে অনন্তকাল ।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন