সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬

চন্দ্রনাথ মন্দির দর্শন

১৯৮৫ সালের জানুয়ারী মাসে সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির দেখতে যাই।আমার সাথে সহযাত্রী হিসাবে ছিলো আমার দুই সহকর্মী, একজনের নাম মোতাহার আর একজনের নাম তাজুল।
চন্দ্রনাথ মন্দির উঠার  রাস্তাটি  সীতাকুণ্ড কলেজ রোড দিয়ে সোজা গিয়ে বাঁধানো সিঁড়ি সংযুক্ত যে পথে  সেই পথ।   ১১৫০ ফুট উ্চু চন্দ্রনাথ পাহাড়। আমরা সিড়ি বেয়ে বেয়ে উপরে উঠতে থাকি।
হাঁপাতে হাঁপাতে উঠছি আর বিশ্রাম নিচছি।  নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হয়ে আসতো। ডানে-বায়ে দুদিকে চিরহরিৎ বর্ণের চাদরে ঢাকা পাহাড়, পেছনে সারি সারি ছোট-বড় পাহাড়-টিলা সবুজে ঢেকে আছে। সামনে একটু নিচু এক পাহাড়ের চূড়োয় একটা মন্দির ছোট্ট খেলনা বিন্দুর মত লাগতো। আরেকটু সামনে তাকালে বঙ্গোপসাগরের অংশ চোখে পড়ে। তারপরে দিগন্ত রেখায় লম্বা কালো একটা টান, ক্রমশ সমুদ্রতলে হারিয়ে যেতে থাকা দ্বীপ ভূখণ্ড ‘সন্দিপ’। একটা সময়ে আমরা মন্দিরে পো্ঁছে যাই। তখন মনে হচছিলো-- আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে....।                                                                      (নীচের ছবি দুটির একটি সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির এবং অপরটি মন্দিরে ওঠার খাড়া সিড়ি। )

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন