শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬

বহিমিয়ান

তারুণ্যের একটা সময়ে ইচছাকৃতভাবে মাঝে মাঝে বহিমিয়ান হতাম। নিজকে ভবগুরে করে রাখার মধ্যে একধরনের ভালোলাগা ছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি।হলে থাকি। ফন্দি করে এক ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে গেলাম না। হলেই থাকলাম।ঈদের দিন ঘুম থেকে একটু দেরী করেই উঠলাম।হলের ডাইনিং বন্ধ।কাটাবন মসজিদের পিছনে তখন বস্তি ছিল। ওখানকার এক ইটালিয়ান হোটেলে বসে নাস্তা করলাম। নামাজ পড়তে গেলাম না।কলাভবনের দিকে ফিরিয়া আসিলাম। ভবনের সামনের সিড়িতে বন্দধ দরজায় হেলান দিয়ে বসেে থাকলাম।জনমানব শূ্ণ্য। ক্যাম্পাসে কেউ নেই।
খুব জোরে জোরে গান ধরিলাম। দেখিলাম আমার গান শুনে সব কাকেরা উড়ে চলে গেল।
পরেরদিন রুমে শুয়ে আছি। সকালেও খাইনি,দুপুরেও খাইনি। সত্যিকারই মনখারাপ লাগছিলো। মিরপুরেে আমার বোন দুলাভাই থাকতো। তারা কেমন করে খবর পেয়েছে আমি ঈদে বাড়ী যাইনি। বিকেলবেলায় আমার দুলাভাই এসে রুমে হাজির। গম্ভির কন্ঠে আমাকে বলিল- " হিমু হইয়াছো ? কবি ! বসে বসে কবিতা লিখো ! মাথায় আবার বাবরি চুল।বাউল !..." অনেকটা কান ধরার মতো করিয়া দুলাভাই সেদিন আমাকে তা্ঁর বাসায় নিয়ে গিয়েছিলো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন