শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭

বিসর্জন দাও

দূর থেকে তাকে দেখলাম আজ বুড়িগঙ্গার পারে
হেটে হেটে এসেছিলো সে আরমানীটোলা থেকে
নবাব বাড়ির গেটে এসে
থমকে দাড়িয়েছিলো সে একবার।
আমি তার নাম জানিনা,
সে কি কৃষ্ণা? নাকি বাসন্তী, নাকি বিজলী?
কপালে তার সিঁদুর ছিলোনা,
সেকি মীর্জা বাড়ির মেয়ে তবে ?
নাকি সাঁওতাল, হরিজন দাসী কোনো?
মেয়ে তুমি যেই হও, চিত্ত আজ বিমুগ্ধ তোমার জন্য।

পায়ে নুপুরের ঝুমঝুম শব্দ তোলো কেনো?
হাতে তোমার শাঁখারী বাজারের শাঁখা বাজে
কানে দোলে দুল, মাথার চুলে চন্দন ছড়ায়
কান্চনজঙঘার সৌরভ নিয়ে বিস্ময়ে দাড়িয়েছিলো,
তুমি কি বিসর্জন দেবে এই গঙ্গার জলে?
পার্বতী আজ ফিরে যাবে কৈলাসে মানস সরোবরে
যাবে শ্বশুরবাড়ি, শিব সংসারে
মেয়ে তোমার তো কোনো শ্বশুরবাড়ি নেই।

যদি সন্ন্যাস হতে হয় হবো, বেদুইন হতে হয় হবো
যদি সাঁওতাল হতে হয় হবো
হরিজন হরিদাশ হতে হলে তাই হবো --
তবুও বিসর্জন দাও আমারই হৃৎ যমুনায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন