বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০

ছাত্তাইরা

ছাত্তাইরা

আজ সকালে 'অপ্রাপণীয়া'র প্রুফ কপি আনতে নীলক্ষেতে একটি প্রেসে গিয়েছিলাম। নীলক্ষেতেে গেলেই নস্টালজিয়ায় পেয়ে বসে। বিশেষ করে এখানকার হোটেল ও পুরোনো বইয়ের দোকান গুলোর কথা খুব মনে পড়ে। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময়  সকালে বিকালে হল থেকে এসে এখানকার হোটেলে নাস্তা করতাম। দুপুরে ভাত খেতাম। কত আড্ডা দিতাম।   

আজ নীলক্ষেত মোড়ে নেমেই দেখলাম সেই বিউটি হোটেল। হোটেলটা দেখেই গরম পরোটা আর হালুয়া খেতে ইচ্ছে করল।  ঢুকলামও হোটেলে। খেলাম পরোটা আর হালুয়া। হালুয়ার স্বাদ আর আগের মত নেই। ঘীয়ের পরিবর্তে সোয়াবিন/ ডালদা। তবুও তৃপ্তি পেলাম।    

খেয়ে বিল দিতে কাউন্টারে আসি।  বিল কত জিজ্ঞাসা করি। বিল যখন দিতে যাচ্ছিলাম তখন কাউন্টারে বসা ম্যানেজার বলে -- 'টাকা দিতে হবে না স্যার।'  আমি বললাম -- কেন?
 
--- আমাকে চিনতে পারছেন না স্যার?  আমি ছাত্তার। আপনেরা আমারে সবাই 'ছাত্তাইরা' বলে ডাকতেন।  জসীমউদ্দিন হলে আপনাদের রুমে সবার ফয়ফরমাস করতাম। 

আমি ওর দিকে বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। সত্যি তো সেই ছাত্তার ! ও ছিল তখন নয় দশ বছরের একটি 'টোকাই' বালক। এখন চল্লিশোর্ধ্ব। এবং সে ম্যানেজার। ছাত্তার আমাকে ঠিকই চিনে ফেলেছে।  আমি ওকে চিনিতে পারি নাই। এই শহরে এতদিন ওকে আমি কত যে 
খুঁজেছিলাম!  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন