বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪

অণু কবিতা ( পাণ্ডুলিপি )

১.


বুকের ভিতর এখনও একাত্তর জেগে ওঠে।
কোথাও এখনও অসুন্দর এবং অসুররা রয়ে গেছে।
ফয়সালা দরকার। হয় অসুররা থাকবে, 
না হয় মানুষেরা থাকবে।
বুকের নীচে আমার বিশ্বাস -
মানুষদেরই জয় হবে একদিন।


২.


যতদুরে যাও তুমি  দৃষ্টিতে তত তুমি হও সমুজ্জ্বল -
যতকাছে রবে তুমি আউট অফ ফোকাসে তত তুমি অনুজ্জ্বল...।


৩.

তোমার জন্য চোখ টলোমলো, 
কবিতার অক্ষর এলোমেলো, কলম জুড়ে প্রকাশ পেল কেবলই শোক।

আত্মার আলো নিভে গেল
প্রদীপখানি জ্বেলে ধরো, স্মৃতির সাথে কথা বলো, মৃত্যু কেবল আমারই হোক।


৪.

বিহবল হয়ে শরীর বৃত্তে যখন আবিষ্ট হয়ে থাকো 
তখন তুমি অভিমানী হও
অন্তর দুয়ার খুলে প্রগলভতায় বলো--
'আমি কী শুধু বন্ধুই তোমার?'

আমি বলি-- ওগো হতচ্ছারি, তোমার কাছেই 
যখন যা চাই তখনই তা পাই 
এমন করে অনিঃশেষ ভালোবাসা বন্ধুই দিতে পারে 
তুমিও সেইরূপ বন্ধু আমার একজন। 


৫.



আমি নামাজ পড়ি আযান শুনে যখন যেখানে থাকি
গৃহকোণে,নমসজিদে, মাঠে, নদীর কূলে জমিনের উপর,
আমি ভালোবাসি ফসলের ক্ষেত, পাখি মানুষ আর মাটি
ধর্মের নামে তোমরা অধর্ম করো না-
হাতে তুলে নিও না তুমি বোমা গ্রেনেড কিংবা চাপাতি।


৬.


কত অন্তহীন পথ হেঁটে এসে শেষে দাঁড়ালাম তোমার দ্বারে। আমি পানি চাইলাম।
তুমি দেখালে নদী। এত জল কার? এত ঝিনুক সেখানে। জলে নামতেই দেখি,  শ্যাওলা দামের ভিতরে অসংখ্য মুক্তা। 

স্রোতে ভেসে যাই। ডুবে যাই।
আমার কোথাও কূলও নাই, কিনারা নাই।


৭.


কত পথ কত প্রান্তর, কত বন্দর কত লোকালয় ঘুরেছি,
কত অন্ধকারে চোখ রেখে এতকাল যাকে খু্ঁজছিলাম  --
আর তারই কী-না দেখা পেয়ে  গেলাম  সিরাজগঞ্জের জামতৈল স্টেশনের কাছে এক নির্জন শ্রান্ত শান্ত কুটীরে।


৮.

গল্পে কেউ থাকে কেউ থাকে কবিতায়
কেউ থাকে জনম জনম কেউ হয় ক্ষণিকা 
কেউ থাকে মেঘে ঢেকে
কেউ আবার নদী হয়ে অকূলে ভেসে যায়।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন