টু ক্লাসের প্রথম দিনের কথা।মা আমার চুলে সরিষার তেল মেখে পরিপাটি করে আঁচড়িয়ে স্কুলে পাঠিয়েছিলো।পরনে ছিলো রাবার লাগানো চেক হাফ প্যান্ট।গায়ে ছিলো পপলিনের সাদা ঢোলা সার্ট। পায়ে ছিলো স্পঞ্জের স্যান্ডেল।ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চে এক কোনে চুপচাপ বসে আছি।ও পাশ থেকে দেখি- আমাকে দেখে হৈমন্তী মিট মিট করে হাসছে।
একদিন,হৈমন্তী চুপিচুপি ওদের গাছের একটি কা্ঁচা পেয়ারা এনে আমাকে খেতে দিয়ছিলো।আর একদিন দিয়েছিলো, পূজোর প্রসাদ- খেঁজুরের গুরের খাজা।মাঝে মাঝে কুন্ডুদের দোকান থেকে আমরা কাঠি লজেন্স কিনে খেয়েছি। ফাইভ ক্লাস পর্যন্ত হৈমন্তী আমার সহপাঠি ছিলো।
জীবন অনেক পিছনে ফেলে রেখে এসেছি।পিছনে পড়ে আছে হৈমন্তীও।এতো পিছনে যে স্ক্রল করে আনাও এখন অসম্ভব। হৈমন্তীরা অনেক আগেই ভারতে চলে যায়।জলপাইগুরি'র ময়নাগুরিতে ওরা থাকে।বিয়েও হয়ে গেছে ওখানেই।ওর বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নাকি তিস্তা নদী।যে নদীর বহতা বাংলাদেশেও আছে।
মাঝে মাঝে হঠাৎ মনটা বিহবল হয়ে ওঠে। উদাস হয়ে দেখি পিছনের সেই সব মানুষ,নদী,ধানক্ষেত।শুনতে পাই বাউল আর ভোরের পাখিদের গান।মনে পড়ে হৈমন্তীর কথাও। খুব ইচ্ছা হয় তিস্তা নদীতে নৌকা ভাসিয়ে চলে যাই ময়নাগুরিতে।ওখানে তো এই নদী আছ। যেয়ে খুঁজে বের করি ওর গ্রাম। দেখে আসি একবার আমার ছেলেবেলার সেই হৈমন্তীকে।
একদিন,হৈমন্তী চুপিচুপি ওদের গাছের একটি কা্ঁচা পেয়ারা এনে আমাকে খেতে দিয়ছিলো।আর একদিন দিয়েছিলো, পূজোর প্রসাদ- খেঁজুরের গুরের খাজা।মাঝে মাঝে কুন্ডুদের দোকান থেকে আমরা কাঠি লজেন্স কিনে খেয়েছি। ফাইভ ক্লাস পর্যন্ত হৈমন্তী আমার সহপাঠি ছিলো।
জীবন অনেক পিছনে ফেলে রেখে এসেছি।পিছনে পড়ে আছে হৈমন্তীও।এতো পিছনে যে স্ক্রল করে আনাও এখন অসম্ভব। হৈমন্তীরা অনেক আগেই ভারতে চলে যায়।জলপাইগুরি'র ময়নাগুরিতে ওরা থাকে।বিয়েও হয়ে গেছে ওখানেই।ওর বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নাকি তিস্তা নদী।যে নদীর বহতা বাংলাদেশেও আছে।
মাঝে মাঝে হঠাৎ মনটা বিহবল হয়ে ওঠে। উদাস হয়ে দেখি পিছনের সেই সব মানুষ,নদী,ধানক্ষেত।শুনতে পাই বাউল আর ভোরের পাখিদের গান।মনে পড়ে হৈমন্তীর কথাও। খুব ইচ্ছা হয় তিস্তা নদীতে নৌকা ভাসিয়ে চলে যাই ময়নাগুরিতে।ওখানে তো এই নদী আছ। যেয়ে খুঁজে বের করি ওর গ্রাম। দেখে আসি একবার আমার ছেলেবেলার সেই হৈমন্তীকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন